রোদন: অরণ্যে, অতঃপর
এইসব আবরণ ভেদ করা স্পন্দন
ক্রমশ: বাড়ছে আর ক্ষয় তার বাড়াচ্ছে প্রভাব
এভাবে অন্ধকার আপ্লুত আলোর গন্ধ পেলে
ছায়ার পেখম নৃত্য নিবিড় হয় অনায়াসে ।
পরিচালন ব্যয় গতি পেলে
পতন গোগ্রাসে গিলে মাংস ও হাড়
নীল ও সবুজ কাৎরায়
ফিকে হয় লালের প্রবাহ
তরুণ মৎস্যের লেজ ক্ষত নিয়ে নড়াচড়া করে ।
ওসব জেনেছিলে সেইকবে, যখন বেগুনী ফুল
নেড়েছিলো ঝুটি পালকের স্পর্শ মেখে
উড়েছিলে শীর্ষ সবুজে,
জেনেছিলো ঘাই মানে ঢেউয়ের ছড়ানো পালক
বিস্তারিত জলের প্রবাহে দোলাচল,
সমস্ত নূতন মেঘ ঝরে গেলে
শূন্যতায় শুধুই রোদন ।
রোদন পূর্ণ যদি সবুজ চত্বর
ফুলের বিমর্ষ মুখ উঁকি মারে যদি,
আবরণভেদী ঐ অণুজীবে প্রয়োজন নেই ।
চলতে চলতে
এরকম দুপুর পর্যন্ত ঘুমুনো
এক আজলা জল চোখে মুখে দিয়ে
শুকনো রুটিতে কামড় আর তখনও ঘুমের
লিপ্সা চোখ জুড়ে ।
খনেখনে গলায় ফিরিস্তি
চাল-ডাল-সবজি-মাছ ইত্যাদি ইত্যাদি
শূন্য হাড়ি-কুড়ি সব, তারপরও ঘুমের বেড়াজালে ।
চলতে চলতে দিনের শেষে
সান্ধ্য পৃথিবীতে
মন মনে আওয়াজের ফের উত্থানে
উত্থিত হলেন তিনিও
চুলহীন মস্তকধারী অনন্য যুবক ।
তার পৃথিবীতে দিন রাত একাকার
তিনি স্মিত হেসে
স্বাগত ভাষণ রাখেন ইট কাঠ আর
গ্রিলের সান্নিধ্যে নীরবে নি:শব্দে ।
হাস্য সম্বরণে ব্যর্থ হলো সান্ধ্য পৃথিবী ।
জলদানব
লুকোচুরি, মেঘ
খেলে তার মতো আর
আকাশ বুকে ধরে তারার ঝিলিক
সুর্য্য দানব হাসে খরতাপ ঢেলে
কল্পলোকে ফাঁদ পেতে কি লাভ কুমারী ?
অনন্ত স্বপ্ন যদি মেলে পাঁচ আঙ্গুল
বৃত্তাবদ্ধ হয়ে যায় আগামী প্রভাত
সবুজ বিনম্র ঠোঁটে চুম্বন রাখে
মৃৎ পাত্রে মৃত মৎস্য ভাসে নিরুদ্বেগ ।
আন্দোলিত স্কুইডের পঞ্চম শুঁড়ে
লালা ঝরে প্রাকৃতিক উন্মত্ত সময়ে
আদিম প্রবৃত্তি ভেদ করে জলরাশি
মিলন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পদক্ষেপ রাখে ।
প্রাচীর দাঁড়ায় যদি নিজস্ব নিয়মে
দ্রুত রং বদলায় জলের দানব
তীক্ষ্ণ দাঁতে স্ফুলিঙ্গের দৃঢ় উত্থান
টালমাটাল আদিগন্ত, মাতাল সময় ।
জলে ভাসে প্রযুক্তি ভাসে প্রাণ আরও
ঢেউয়ের তুমুল চাল বালিয়াড়ি ভাঙ্গে ।
0 comments:
Post a Comment