Sunday, June 8, 2014

দীপঙ্কর বেরা


বন বিতান

বন বিতানে বসেই সময়ের পলক গুনতেই
কাটিয়ে দেওয়া অবসর সংগ্রাম
আমাকে আমার কাছেই নতজানু করে দেয়
হত চকিত হয়ে সুবাস নেওয়া
ফুলেল সৌন্দর্যের আবহাওয়ায়
সুখের নিদ্রার জাগরণে কর্মের পাহাড়
জমা হয়েই পরিশ্রমী দ্রুতিতে
ছটপট করে নৈসর্গিক অবস্থান
ভাসতে থাকা মিলনের অভিমুখে
হৃদয় বদলের সংজ্ঞায় সুর ওঠে দামামা বিভ্রাটে
মুকুলের মলিন ধুলোর স্রোতে
আশ্রমের বিকাশ ঘটবে ভেবে সকালের রোদ
রোজ দুয়ারে কড়া নাড়ে
দরজা খুলে যায় , খুলে দিতে হয়
সময়ের হাত ধরে বাতাস আসে ,
বৃষ্টি আসে ধুলোকণার সমাজ আসে
এমন কি সেজেগুজে অবোধ্য মাধুরীও
তীক্ষ্ণ হেসে কটাক্ষ করে যায়
খোলা দুয়ার খোলা থাকে অথবা বন্ধ অভিনয়ে
আনাচে কানাচে ঘর হয়ে হাতের উপরে হাত রেখে
সংসার সৃষ্টি করে আবহমান  
সূত্র মিলে যাওয়া গ্রহাণুর অলীক ছন্দে
কত কি কথা বলে ভাবায় কথার মনিমালা
দূরের পুঞ্জাক্ষিতে ভেসে আসে
ভাঙা ভাঙা ড্রামের আওয়াজ
মন্দ্রিত উৎসাহে ভাটা পড়ে যায়
সমস্ত দিনান্ত অবসর আমাদের যাত্রার ভোর হল বুঝি
মিলনের মৌলিক আনন্দ
আবারও জয়গানে মুখর হয়ে
বন বিতানের ছায়া তলে মায়ার উপঢৌকন 
কিশলয়ের খিলখিল হাসিতে
বাসর জাগে আগামী প্রত্যয়
বাঁচতেই যে আয়োজন তার মধ্যে অস্ত্র ধ্বংস বিচ্ছেদ ,
মুকুটের মত মাথা থেকে নামছে না দেখেই
সকলেই যাযাবর হয়ে যায় 
মনপাখিদের ডানার শব্দ মিঠে রোদকে
কিছুতেই কেউ মলিন হতে দেবে না ভেবেই
নতুন নতুন সুর তুলে রাত জাগে  ,
দিনের সাঁতার কেটে জালিকাকার শিরাবিন্যস্ত হয়ে পড়ে
আর সুন্দর খুব সুন্দরের জয়গান ওঠে 




0 comments:

Post a Comment