বন
বিতান
বন বিতানে বসেই সময়ের পলক
গুনতেই
কাটিয়ে দেওয়া অবসর সংগ্রাম
আমাকে আমার কাছেই নতজানু
করে দেয় ।
হত চকিত হয়ে সুবাস নেওয়া
ফুলেল সৌন্দর্যের আবহাওয়ায়
সুখের নিদ্রার জাগরণে
কর্মের পাহাড়
জমা হয়েই পরিশ্রমী
দ্রুতিতে
ছটপট করে নৈসর্গিক অবস্থান
।
ভাসতে থাকা মিলনের অভিমুখে
হৃদয় বদলের সংজ্ঞায় সুর
ওঠে দামামা বিভ্রাটে ।
মুকুলের মলিন ধুলোর স্রোতে
আশ্রমের বিকাশ ঘটবে ভেবে
সকালের রোদ
রোজ দুয়ারে কড়া নাড়ে ।
দরজা খুলে যায় , খুলে দিতে হয় ।
সময়ের হাত ধরে বাতাস আসে ,
বৃষ্টি আসে ধুলোকণার সমাজ
আসে
এমন কি সেজেগুজে অবোধ্য
মাধুরীও
তীক্ষ্ণ হেসে কটাক্ষ করে
যায় ।
খোলা দুয়ার খোলা থাকে অথবা
বন্ধ অভিনয়ে
আনাচে কানাচে ঘর হয়ে হাতের
উপরে হাত রেখে
সংসার সৃষ্টি করে আবহমান ।
সূত্র মিলে যাওয়া গ্রহাণুর
অলীক ছন্দে
কত কি কথা বলে ভাবায় কথার
মনিমালা ।
দূরের পুঞ্জাক্ষিতে ভেসে
আসে
ভাঙা ভাঙা ড্রামের আওয়াজ ।
মন্দ্রিত উৎসাহে ভাটা পড়ে
যায়
সমস্ত দিনান্ত অবসর । আমাদের যাত্রার ভোর হল বুঝি ।
মিলনের মৌলিক আনন্দ
আবারও জয়গানে মুখর হয়ে
বন বিতানের ছায়া তলে মায়ার
উপঢৌকন ।
কিশলয়ের খিলখিল হাসিতে
বাসর জাগে আগামী প্রত্যয় ।
বাঁচতেই যে আয়োজন তার
মধ্যে অস্ত্র ধ্বংস বিচ্ছেদ ,
মুকুটের মত মাথা থেকে
নামছে না দেখেই
সকলেই যাযাবর হয়ে যায় ।
মনপাখিদের ডানার শব্দ মিঠে
রোদকে
কিছুতেই কেউ মলিন হতে দেবে
না ভেবেই
নতুন নতুন সুর তুলে রাত
জাগে
,
দিনের সাঁতার কেটে
জালিকাকার শিরাবিন্যস্ত হয়ে পড়ে ।
আর সুন্দর খুব সুন্দরের
জয়গান ওঠে ।
0 comments:
Post a Comment