Friday, September 19, 2014

সুকান্ত চক্রবর্তী

গুচ্ছ কবিতা
গুছিয়ে নাও যা ছিল নেওয়ার ,
জামাকাপড়, দরকারি আসবাব ;
কাগজপত্র টুকটাক, পুরনো চিঠি
মুহূর্তদের ধরে রাখা কিছু
সাদাকালো ফ্রেম; গুটিয়ে নাও
এতদিনে যা ভেবে নিয়েছিলে তোমার

দেখে নিও ঘরের কোনে হয়তো
পড়ে আছে কিছু খরকুটু,
জানালার পাশে আছে কিছু আলসে দুপুর,
ভোরের আলো,রাতে নিয়নের পরকীয়া
সব নিয়ে নিও গুছিয়ে,যদি পারো ;
সিলিং আঁকা স্বপ্ন,মুছে দিয়ে যেও;
হয়তো যে নুতুন আসবে,সে তাতে রং
লাগাবে আরও

সময় নেই বেশি,তাড়াতাড়ি যা পারো
তাই নাও, ঘরের কোনায় কোনায় জমে
থাকা ধুলোবালি , মাকড়সার জাল,
বছর কাটানো দিনরাত ;
এইতো, দুকদম পেরিয়ে বিস্তীর্ণ পৃথিবী ,
এরপর আর ঘর বলে কিছু হবেনা তোমার


সহজ কথায় বললে
কিছুটা এখনও বাকি
ঠিক যতটা বাকি ছিল কিছুদিন আগে
কিছুদিন মানে অনেকদিন,
যখন তোমার বিশ ,আমার একুশ হবে
সময়ের চাকা নাকি ঘুরে,
আর যত ঘুরে তত ক্ষয় পায় ;
তাই কিছুটা রেখেছি বকেয়া,
পুরোটা ক্ষয়ে যাওয়ার আগে
কিছুদিন ঘুরপাক খাবো দুজনে
  

আগুনকে আর ভয় পাইনা ;
কতবার পোড়াবে সে আর?
যতবার নিয়েছি দেহ,
সে তো পুড়িয়েই গেছে
আমার রক্ত,মাংস, হাড়

আবার পোড়াক,
আবার দেহ-ছাড়া করুক আমায়।
আগুনের সাথে লুকোচুরি খেলা তো
আমার সৃষ্টিগত অধিকার


একদিন কবি হল ফুলগাছ,
আর কবিতা হয়ে গেল মালী ;

বাগানটা যত বাড়ল,
ততই বাড়ল কবি ;

মালী একা ; কে দেবে জল?
বাগানেতে তাই মালীকে নিয়ে কাড়াকাড়ি
শুধু কাড়াকাড়ি নয়, মারামারি ;
মরে গেল সেই মালী

পরে জানা গেল,
মাটিতে মিশে জৈব হয়ে
শিকড়ে শিকড়ে ছেয়েছিল মালী

বাগানের সব কবিফুলে যখন ভ্রমর বসতো ,
তখন নাকি সুবাসে থাকতো মালীর ঘাম আর মাটি




0 comments:

Post a Comment