গুচ্ছ কবিতা
১
গুছিয়ে নাও যা ছিল
নেওয়ার ,
জামাকাপড়, দরকারি আসবাব ;
কাগজপত্র টুকটাক, পুরনো চিঠি
মুহূর্তদের ধরে রাখা কিছু
সাদাকালো ফ্রেম; গুটিয়ে নাও
এতদিনে যা ভেবে নিয়েছিলে তোমার ।
কাগজপত্র টুকটাক, পুরনো চিঠি
মুহূর্তদের ধরে রাখা কিছু
সাদাকালো ফ্রেম; গুটিয়ে নাও
এতদিনে যা ভেবে নিয়েছিলে তোমার ।
দেখে নিও ঘরের কোনে
হয়তো
পড়ে আছে কিছু খরকুটু,
জানালার পাশে আছে কিছু আলসে দুপুর,
ভোরের আলো,রাতে নিয়নের পরকীয়া
সব নিয়ে নিও গুছিয়ে,যদি পারো ;
সিলিং এ আঁকা স্বপ্ন,মুছে দিয়ে যেও;
হয়তো যে নুতুন আসবে,সে তাতে রং
লাগাবে আরও।
পড়ে আছে কিছু খরকুটু,
জানালার পাশে আছে কিছু আলসে দুপুর,
ভোরের আলো,রাতে নিয়নের পরকীয়া
সব নিয়ে নিও গুছিয়ে,যদি পারো ;
সিলিং এ আঁকা স্বপ্ন,মুছে দিয়ে যেও;
হয়তো যে নুতুন আসবে,সে তাতে রং
লাগাবে আরও।
সময় নেই বেশি,তাড়াতাড়ি
যা পারো
তাই নাও,এ ঘরের কোনায় কোনায় জমে
থাকা ধুলোবালি , মাকড়সার জাল,
বছর কাটানো দিনরাত ;
এইতো, দুকদম পেরিয়ে বিস্তীর্ণ পৃথিবী ,
এরপর আর ঘর বলে কিছু হবেনা তোমার ।
তাই নাও,এ ঘরের কোনায় কোনায় জমে
থাকা ধুলোবালি , মাকড়সার জাল,
বছর কাটানো দিনরাত ;
এইতো, দুকদম পেরিয়ে বিস্তীর্ণ পৃথিবী ,
এরপর আর ঘর বলে কিছু হবেনা তোমার ।
২
সহজ কথায় বললে
কিছুটা এখনও বাকি ।
ঠিক যতটা বাকি ছিল কিছুদিন আগে ।
কিছুদিন মানে অনেকদিন,
যখন তোমার বিশ ,আমার একুশ হবে ।
সময়ের চাকা নাকি ঘুরে,
আর যত ঘুরে তত ক্ষয় পায় ;
তাই কিছুটা রেখেছি বকেয়া,
পুরোটা ক্ষয়ে যাওয়ার আগে
কিছুদিন ঘুরপাক খাবো দুজনে ।
কিছুটা এখনও বাকি ।
ঠিক যতটা বাকি ছিল কিছুদিন আগে ।
কিছুদিন মানে অনেকদিন,
যখন তোমার বিশ ,আমার একুশ হবে ।
সময়ের চাকা নাকি ঘুরে,
আর যত ঘুরে তত ক্ষয় পায় ;
তাই কিছুটা রেখেছি বকেয়া,
পুরোটা ক্ষয়ে যাওয়ার আগে
কিছুদিন ঘুরপাক খাবো দুজনে ।
৩
আগুনকে আর ভয় পাইনা
;
কতবার পোড়াবে সে আর?
যতবার নিয়েছি দেহ,
সে তো পুড়িয়েই গেছে
আমার রক্ত,মাংস, হাড় ।
আবার পোড়াক,
আবার দেহ-ছাড়া করুক আমায়।
আগুনের সাথে লুকোচুরি খেলা তো
আমার সৃষ্টিগত অধিকার ।
কতবার পোড়াবে সে আর?
যতবার নিয়েছি দেহ,
সে তো পুড়িয়েই গেছে
আমার রক্ত,মাংস, হাড় ।
আবার পোড়াক,
আবার দেহ-ছাড়া করুক আমায়।
আগুনের সাথে লুকোচুরি খেলা তো
আমার সৃষ্টিগত অধিকার ।
৪
একদিন কবি হল ফুলগাছ,
আর কবিতা হয়ে গেল মালী ;
বাগানটা যত বাড়ল,
ততই বাড়ল কবি ;
মালী একা ; কে দেবে জল?
বাগানেতে তাই মালীকে নিয়ে কাড়াকাড়ি।
শুধু কাড়াকাড়ি নয়, মারামারি ;
মরে ই গেল সেই মালী ।
পরে জানা গেল,
মাটিতে মিশে জৈব হয়ে
শিকড়ে শিকড়ে ছেয়েছিল মালী ।
বাগানের সব কবিফুলে যখন ভ্রমর বসতো ,
তখন নাকি সুবাসে থাকতো মালীর ঘাম আর মাটি ।
আর কবিতা হয়ে গেল মালী ;
বাগানটা যত বাড়ল,
ততই বাড়ল কবি ;
মালী একা ; কে দেবে জল?
বাগানেতে তাই মালীকে নিয়ে কাড়াকাড়ি।
শুধু কাড়াকাড়ি নয়, মারামারি ;
মরে ই গেল সেই মালী ।
পরে জানা গেল,
মাটিতে মিশে জৈব হয়ে
শিকড়ে শিকড়ে ছেয়েছিল মালী ।
বাগানের সব কবিফুলে যখন ভ্রমর বসতো ,
তখন নাকি সুবাসে থাকতো মালীর ঘাম আর মাটি ।
0 comments:
Post a Comment