Saturday, October 17, 2015

অভিষেক চন্দ্র

কলিং বেলটায় আশ্রিত

কলিং বেলটায় আশ্রিত আঙুলের দাগগুলো
ধুয়ে গেছে বৃষ্টিতে পিছল হয়ে গেছে বারান্দা 
তুমি আস্তে আস্তে দূরত্ব বাড়িয়েছ,

আমিও স্কেল দিয়ে মেপেছি সান্ত্বনা
এখন টিভিতে তোমার বিপনণী মুখ।
চটকদার। লোভনীয়। মুচমুচে শরীর।
মাংসল, লাল ঠোটের নীচে লুকোনো শ্বাপদের মত বিষদাঁত।
আর-- টেবিলে দাবার বোড়েটা ছুটছে, 
একঘর, দু-ঘর... 
মন্ত্রী নিতেই হবে


শেষযাত্রা 

জোনাকি উড়ছে, আমি পুড়ছি। 
কেউ আমায় সুড়সুড়ি দিচ্ছে- হাসছি।
প্ল্যাটফর্মের গা ঘেঁষে একটা অ্যাম্বুলেন্স অনেক রুগী নিয়ে, 
সাইরেন দিতে দিতে পেরিয়ে যায় শ্মশানে, ইলেকট্রিক চুল্লিতে, 
কে বা কারা একটা অজ্ঞাত-পরিচয়, গলাকাটা লাশ দিয়ে গেলো ফেলে।
সিঁড়ির নীচে কয়েকটা ইঁদুর মহানন্দে লাফাচ্ছে আমায় খাবে বলে। 
আমি পুড়ছি- জোনাকিও। 
আমি কোলবালিশের উপর শুয়ে উদোম লাফাচ্ছি (প্রেমিকা নেই),
হঠাত লোডশেডিং; কানের কাছে মশাদের জাতীয় সংগীত, 
কোথাও শববাহী গাড়িতে ধাক্কা মেরেছে বাইক (মোড় ঘুরতে গিয়ে) ইসস! 
ঐ গাড়িতে ওকেও চড়ানো যায়! আমি মরে গেলে, 
আমাকে মনে রাখার প্রয়োজন নেই, তোমার আঙুল দাওনি ছুতে, 
ছুতে দাওনি রোদ্দুর- মনে পড়ে?
কয়েকটা অচল কয়েন আর খই আমার কথা বলতে পারবে না।
তুমি যদি পারো, তাহলে একমুঠো কবিতা ছড়িয়ো।
ফোনটা বুকপকেটে রাখি,

যদি ভাইব্রেশনে জেগে উঠি, আবার, কোনোদিন? 





1 comments: