Thursday, November 8, 2018

বিশ্বরূপ বিশ্বাস


চিঠিগুলো

আলো ঘেঁটে যাওয়া বস্তির আনন্দ তামাম। আলোর পেরেক যেন ডিমের তারণ দুনিয়া ব্যেপে। বারণেও শাদা হয়। গাঢ় হলুদ হয় কুসুম। রাতজাগে। সিদ্ধ হয় চেপ্টানো কড়াইয়ে। কিমাকার কসরতে হ'য়ে যায় ভাজা ভাজা। আণ্ডার অনুরাগ।

পাকাধানের বাগানে কেউ পরিত্যাগ করে না মরাসন্তান। জনপথ কোজাগরী স্বর্গতনির্ঝরে মুখোমুখি গাছ হয়। কেটে দেয় আয়নার লঘুদেহ। শুচিস্নান। রুচিতে মোরগ ডাকে সারাটা উত্তাপে। পাহাড়ে পাহাড়ে শারদ আয়ুধিক চোট পায়।
পারিবারিক হোঁচট খায়।

প্রবেশের মাঠে যত দূষিত রক্ত। সংহত সন্ন্যাসী আনাড়ি প্রায়। লিখে পাওয়া উপছানো পার্কের রাস্তায় সরোবর হ'য়ে আছে ঋতুর দীঘি। জীবনের ফল ছেড়ে কোন পাখি নিবি বল। সম্ভবে আয়োজনে কতজনে ঘুমিয়ে স্বাগত হবে। বালিশের মান্যতা কোন প্রাণে হেঁটে যাবে বিছানায় বল।

চেয়েছি রাইফেল আমি কসাইদের দলে। অপমানে মরেনি যে জানোয়ার তার প্রমাণের ঠোঁটে কত কষ গড়ায়। দেখে নেবো এবার গুলি ক'রে চেপে ধ'রে। সংসারে খোরপোষ দিয়ে। তারপর খ'সে প'ড়বে যে মাংস মাটিতে থরথরিয়ে। তাকে নিয়ে যাবো পালিয়ে কফিনের দেশে। শাদা কাফনের দেশে।

যে প্রেসার কুকারে মসৃণ চালডাল ঢেলেছি। তার ভাপ হ'য়ে গ্যাছে জোনাকি পরিধির মাপে। আগুনের চাপে তার চুল্লিও জ্ব'লছে না। কি সহজে রান্না হ'তো গরমে নরমে। তা এখন হ'চ্ছে না উনুনের পাড়ায়। বারুদের পালকে। দেশলাইয়ের বাক্সে এখন। আগুন ডাকটিকিট জমায়।

বালতির কন্দরে যে অগাধ জল জ'মেছে। সে জলে স্নান ক'রলে জ্বর আসে না। মরচে ধ'রেছে যে শ্যাওলার খাঁজে। তার ভাঁজে ভাঁজে শালগ্রাম। পাথর। শিলা। গ্লাসের অতলে জলের সেতুসংরচন। সংক্ষিপ্ত পুকুর ভ'রে নাও খালের পানিতে।

মানুষের আড্ডায় কথা ব'লছে চোয়াল। বেদনার দিনটা কিভাবে যে কাটাজিভ নাড়িয়ে-চাড়িয়ে। ছুড়ে দিল অক্ষত চিঠিগুলি যোজনাকাশে। মেঘ তার প্রত্যুষের নির্ভীক ফয়সালা ক'রে পারলো না। ফেলে দিল চিঠিগুলো তাই। কাচগাঁথা পাঁচিলে।।



1 comments: