Thursday, November 8, 2018

শুক্লা মালাকার

উত্তরণ

মনে পড়ে, হুল্লোড়ে কফি-হাউস?
পলাতক রোদ্দুরে রাঙানো গাল
নির্জন ময়দানের ষাস-ফড়িং
অবাঞ্ছিত কালবৈশাখীতে উড়ে যাওয়া উড়নি?
মনে পড়ে, তোমার উত্তরণ বিন্দু?

উড়ালপুলের বিলুপ্ত সীমানা ছাড়িয়েও
কোনও অজানা উচ্চতায়
উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর সামাজিক ঘেরাটোপে
আলোর স্রোত পেরিয়ে তুমি দেখবে
শুনশান জীবন,
নীরবতা ছাড়া কেউ নেই পাশে।

নীচে, বহু নীচে, শহরের রাস্তায়
সরু ফিতের মতো বন্ধু-পাড়া,
না-হওয়া প্রেম,খানদানি পিছুটান
রাত হয়ে ভেসে আছে।


অন্তহীন কোলাজ

কিছু টুকরো ছড়ানো কাঁচ
চেয়ারে পা তুলে বসে থাকা শরীর জানালায় উদাসীন
আকাশ খুঁজে পেরে আনে কুঁচি কুঁচি আলো
কাঁচের গায়ে সে আলো এঁকে চলে
অনাথ ছবির কোলাজ
সময়ের জলে দোল খেয়ে ছবিরা
ছোট ঢেউ তোলে
কখনো কখনো ডুব দিয়ে তুলে আনে
ছায়া ছায়া অতীত কিছু শব্দ  অর্থহীন

দোলনচাঁপার গন্ধে সেদিন এক ঝাঁক সাপ ঘিরে ধরেছিল
পাতার পর পাতায় মাখিয়েছিল বিষাক্ত লালা
দুর্গন্ধের যাতনায় ঘুমিয়ে পরেছিল মন, জীবন

এই জন্ম এমনি এমনিই অন্তহীন
চেয়ারে বসে পা তুলে জানালায় উদাসীন।
                    


এই শহর

নক্ষত্রের ফেলে যাওয়া চিঠি
খাজুরাহোর সঙ্গমরত ম্যুরাল
ঘুষ খেয়ে না হওয়া বৃষ্টি
বুকের ভেতর পচে যাওয়া ভালোবাসা,
ম্যাজিক হারিয়ে ফেলে
সময় ভুলেছে সুখের টুকরো কুঁচি।

শহর জুড়ে ভেসে আছে আধকলি গান
                  



0 comments:

Post a Comment