সোমনামবুলিসম

তবে পৌর্ণমাসীর গোলচে আলোয়
নিঃস্পন্দ কোনো শ্মশানে শেয়ালের
ডাকে একদিন আমার ঘুম ভাঙবে। পূবের আকাশে কখনো জোড়া
রামধনু উঠলেই বুঝবো যে আমার
ফেরার সময় এলো। গহিন
কাশের ঝোপে সফেদ ঢেউ খেললে
আমিও তখন গাঝাড়া দেবো। মহানন্দা কখনো ঋতুমতী যুবতী
হলে আমিও তখন কলার
ভেলায় চেপে ভেসে পড়বো
অচিনের উদ্দেশে। শীতঘুম
থেকে জাগবো, যেমন রুক্ষ
পাথরের বুক ফুঁড়ে জাগে
নবীন চারাগাছ। সহস্র
সূর্যের তেজ নিয়ে নয়, হাজার
ফুলের নির্যাস মাত্র নিয়ে
ফিরবো। জীর্ণ এ বস্ত্র
রিফু করেও তখন ফিরবো
কোনোক্রমে। শরতের কোনো
অকালবোধনে অকস্মাৎ ফিরবো যেমন
বছর ঘুরলে মেয়ে বাপের ঘরে ফেরে দিন তিনেকের
জন্য। যেমৎ বৎসরব্যাপী
বিপ্লবদমনে ক্লান্ত রাজা ফেরেন
শতেক শবদেহ পেরিয়ে দিব্যকান্তি
বাহনে। ফিরবো যেমন
অহল্যা ফেরে শাপমোচনের পরে, চন্দ্রদেব
ফেরেন রাহুমুক্তি ঘটলে। যেমন
বর্ষা ফেরে দহনের ক্ষতে
মলম বোলাতে; যেমন কল্কি
ফিরবেন একদিন ধর্ম ফেরাতে।
দেখো, চন্দনার শোকে বিভোর এক বিষণ্ণ
বিকেলে আমি ফিরে আসবো। ফিরবোই শেষ অবধি।
ব্যাপক
ReplyDelete