Saturday, October 17, 2015

সাগরিকা ঘোষ

অপেক্ষা-বিলাস 

শেষ বাস পাশের পাড়া ছেড়েও দূরে
চাকা বাড়িয়েছে অপেক্ষা করে করে
শেষ ট্রেন ডেকে ডেকে সারা
সিগন্যাল কিংবা একটাও ইশারা...
পেয়ে গেলে দাঁড়িয়েই যেতো সে
রাতের বাস যাকে সঙ্গে নিয়েছে...

একলা একটা কালো পানা কাক
সেলফি তোলে ,রামধনুর রঙ
মাখিয়ে রাখে নীলচে আকাশ
আহা! বড়ই বাউন্ডুলে!
কাক কে ডাকো, বন্ধু পাতাও বন্ধু পাতাও!
নীলচে আকাশ
রামধনুরং কাকে মাখাবে?
কালো শরীরে ময়ূর-পেখম
লাগিয়ে দিলেই রঙ মানাবে?

উনুনের মতন বসে বসে দিন কাটানোর কালোবেলা
রাত্রি এলেই, ফুরিয়ে গেলেই, তোর জুড়িয়ে যাবে
বুকের জ্বালা?

দু একটা ভুল আমারও হোক রক্তস্রোত
ছিটকে আসুক মুঠোর থেকে বাইরে
আসুক বাধ্য মেয়ে সব প্রেমে পড়ুক,
ফুটতে থাকুক
দেখে মনে হয় কই মাছ যেন
না হলে তো বৃথাই বলা মেয়েমানুষের জান।

সব ছেড়ে চলে যেতে হবে
শুনলেই আমার সেই ছেলেটির মুখ মনে পড়ে
যে বলেছিলো 
তোমার জন্য মেঘ
কুড়োবো রোদের বুকেও

তার সঙ্গে আমার কি দেখাও হবে না? 



রাস্তা 

আসার পথে যাওয়ার পথে দেখাশোনা
ফুরিয়ে দেওয়ার সস্তার ঠেক রাস্তা নামে পরিচিত হয় ।

বিনুনিবাঁধা কাজললতা কিংবা নামটা হয়ত বিপন্নতা
রাস্তা হারায় তখন, যখন ফুটপাথে ওঠে হাওয়াই চটি,
আর সাইকেল আর সেই রাস্তাটি গল্প জমায় ।
তিন বছরের জন্মদিনে বাবার কোল
আরও তেত্রিশ বছর পার হয়ে খই মাড়িয়ে কার বাড়ি যায়?

বাবার ছেলে ছেলের বাবা লাইনে দাঁড়ায় এই রাস্তায় ।



 



1 comments:

  1. অনেক ধন্যবাদ কাকুন, খুব ভালো লাগলো গো তোমার সাড়া পেয়ে ।

    ReplyDelete