তোমার মুখে প্রথম মৃত্যুকামনা শোনার পর
বাড়ি ফিরতে পারব কিনা ভাবছিলাম,
রাস্তার বাঁকে দাঁড়িয়ে দেখলাম চশমার কাঁচে বাষ্প জমেছে,
সরকার গিন্নী তুলসী তলার মোমবাতিটাও নিভিয়ে দিল,
গোড়ালি ফেটে লাল অন্ধকার ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে।
বাড়ি ফিরে বারবার নিঃশব্দে ঘুমিয়ে পড়তে জানালা দিয়ে
ঈশ্বরের আলো চোখে পড়ে, আজও জেগে আছি, নীরবে,
ওই শ্মশান তলার পোড়োবাড়িতে, মাঝে মাঝে আমার চিৎকার কোরে উঠতে ইচ্ছে করে।
শিরীষ গাছের তলায় রোজকার হরিনাম শুনতে শুনতে
আমি মৃত্যুকামনার বিরুদ্ধে নীরবতা পালন করি।
আসলে শেষ বলে কিছু নেই
অশাস্ত্রীয় কথা, যার অর্থ আচ্ছাদিত।
তুমি ব্যক্তিগত ইতিহাসের দিকে চেয়ে দ্যাখো,
আমার উন্মাদ প্রেমে ভালবাসা একতরফা।
এই পেট্রোল শাসিত শহরে জ্যামিতিক আকার নিয়ে রাস্তারা নীরব ছিল,
কেউ বিদ্রোহ করেনি। যারা ঘাস পাতা জড় করে আগুন জ্বালিয়েছিল,
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েছিলে তাদের উপরে। ধোঁয়া উঠেছিল,
সে এক হেরে যাওয়া ধ্বংসস্তূপের ধোঁয়া।
ধোঁয়ায় ঢাকা সেই বুদ্ধপূর্ণিমার সন্ধ্যায় তুমি সার্থকতার মধ্যে দিয়ে
ছুটে গেছো।
বিভীষিকাময় এক অতীতকে পিছনে রেখে আমি ঈশ্বরের কাছে হাত তুলেছি,
মাথা নিচু করে নির্বাসিত হয়েছি তার কাছে,
আজও সমুদ্রসৈকতে সূর্যাস্ত দেখতে গেলে রাশি রাশি
বেদনা আমার পা ধুয়ে যায় বুঝতে পারি,
0 comments:
Post a Comment