ব্যক্তিগত পতঙ্গরা যাতে না ঢোকে,
খোপের পর খোপের পর আরও অনেক খোপের ভেতর
যাতে ঢুকে যায় আত্মা,
যাতে দেয়ালকে লাগে ঝাঁঝরি কাটা ফাঁদ,
যাতে সিলিংকে দুরের পাহাড় মনে হয়
ঘাম মোছা টয় ট্রেন থেকে,
যাতে সঙ্গমের ভেতর চোখ না ফেলে
কুয়োতলার পড়শি,
তাই,
মাঝে মাঝে মশারী টাঙ্গায় লোকে,
আমি ভেতরে ঢুকি না –
বারান্দায় সিগারেট ধরাতে আসি,
এই নগ্নতা আমার অহংকার,
এই পোকারা আমাকে আগুন থেকে
ওঠাতে শেখায়,
আমার আড়াল লাগে না - আর তাছাড়া
রাতে আমার ঘুম আসে না ।
জন্মদিনের রাতে
তোমার উঠোন জুড়ে
একটি বিষধর রাত্রি
কাঁপে।
যেন বা প্রতিচ্ছবি – যেন বা
তুমুল নেশার রাতে
একবুক আদর-পুকুরে
অবগাহন।
তুমি তো আগুনে বাঁচো,
মেখে নাও অসুখেও ওম
প্রতীক্ষিত আরোগ্যের আগে,
যদিও এ মনুষ্যজন্ম
শতাব্দীর পর শতাব্দীর ঊষরতায়
কোনোদিন সেভাবে জ্বলেনা।
তা ব’লে কি উৎসব হয় না?
মাদলে মহুলে নামে না মহুয়া সন্ধ্যা?
কাঁদে না মন –
আজ না তোমার ব্যক্তিগত রোশনাই?
আর রোমন্থনে বিজ্ঞাপিত এ নিয়ন নগরী
আজ না তোমার ভ্রুণজ স্মৃতি আর
স্মৃতিবিলোপের ৩০-টি বছর?
আজ না তোমার
জন্মদিন?
0 comments:
Post a Comment