একটি ভ্রমণ
সতের দিনের গুজরাট ভ্রমণ
শেষে যখন ফিরলাম
তালা খুলতেই আমার ছোট্টো ফ্ল্যাট
টা
একটা ছোট্টো শিশুর মত
লাফিয়ে কোলে উঠে পড়ল,
আমি আসবাবের ধুলো ঝাড়লাম,কিচেন সাফ করলাম
শেষে বেড সীট চেঞ্জ করে
যখন বসলাম
তার সে কী হাসি,
অথচ বেড়াতে যাবার দুদিন
আগেও
আমার দমবন্ধ হয়ে আসছিল
এখানে
দিনের শেষে দেয়ালগুলো
আমার বুকে চেপে বসতো
সারা ঘরের ধূসর আমার
দুচোখের মণির মধ্যে ঢুকে গিয়ে
ক্রমে জমে বরফ হয়ে উঠছিল,এই বিবরণ জীবন থেকে
মুক্তি খুঁজছিলাম আমি…..একটা ভাইব্র্যান্ট মুক্তি
সতেরটা দিনের উড়ন্ত ছুটি,
নীলার মত আকাশ,পান্না সবুজ নর্মদা
সন্ধ্যের আবছায়াঘেরা
রুক্মিনণী মন্দির
প্রভাস,ভল্কা আর ইতিহাস,
আচ্ছা সমুদ্রের তলায় এখনো
কি হয় ভালবাসাবাসি
সত্যভামার মহল থেকে কৃষ্ণ
কি আজও হেঁটে যান
রুক্মিণী-মহলের দিকে ?
আর সেই কৌতুকপ্রিয় নবীন
কিশোর শ্বাম্ব
জন্ম দিয়েছে রাশি রাশি মুষলের……
এখন পড়ন্ত সূর্যালোকে
রক্তিম হচ্ছে সমুদ্র
রক্ত রক্ত রক্ত …
নীল শরীর নিঃসৃত লাল
রক্তধারা
আমি আঁচল সরিয়ে বুকে চেপে
ধরেছি
তার পায়ের ক্ষত,আমার স্তন রাঙ্গিয়ে
উপচে উঠছে সেই রক্ত ধারা
বৃন্ত দিয়ে ঝরছে ফোঁটায়
ফোঁটায়
এখন সাদা,অদ্ভুত উজ্জ্বল সাদা তার রং
আমার মনের ভেতর সুখ ঘন
হয়ে উঠছে ক্ষীরের মতন
আমি ঘর ছাড়ি কূল ছাড়ি
যতবার
তুমি জীবনে ফিরিয়ে দাও
ততবার
আমি বর- সানার ঘরে ঘরে খুঁজেবেড়াই
আমার ফেলে আসা কলস
কুঞ্জবনে হারিয়েফেলা
নূপুর
আমি গোপী তালাও এর পাশে
এসে বসলে
তুমি এসে আমার হাত ধরে
বলো
‘চলো, বাড়ি চলো’
তাই তো ফিরে আসি বার বার
বাড়ীতে, এই সাতশ স্কোয়ারফিটে ৷
Bah..re.. Bah..chomothkar
ReplyDelete