Sunday, June 8, 2014

পবিত্র আচার্য্য


খোঁজ

কেউ আমাকে এনে দিতে পারেনি চিরস্থায়ী ঠিকানা
আমি নেমে আসছি খাঁড়া পাহাড়ের চড়াই উৎরাই ঘেঁটে
যা কিছু বন্ধুরতা পেছনে ফেলে আসা সব শিমুল তুলোর মতো
যতবার নিচের দিকে তাকা
চিনতে পেরেছি পতনের মুখ
যে ছাই উড়ে বেড়াচ্ছে সূর্যপোড়া খণ্ড শক্তি থেকে
তাতেই বিবর্ণ হয়েছে পাহাড়ি সকাল
যেটুকু কল্লোল-বৃত্তি-ঘাম ঝর্ণা হয়ে নেমে গেছে
তার ডাক নৈঃশব্দে অচেনা ভাষা
চেনা ঢাল বেয়ে গড়িয়ে এসেছি যতটা পথ
তাকে মধ্যস্থতা ভাবলে
উপর নীচের মধ্যে ব্যবধান গড়ে উঠে

একেকটা এপিটাফ থেকে নেমে আসছি যানজটে
সংক্ষিপ্ত বারান্দা, অসমাপ্ত খিলানের খোঁজে


জেহাদ

[]
হাজার নেগেটিভ এর সাথে জুড়ে দিলাম
অবাধ প্রবেশ এর রাস্তা
কেবল দরজাই বোঝে ভেতর বাহিরের শ্রেণিভেদ
একটা ডানা হীন পায়রা দরজা দেখেও
অনুপ্রবেশ এর কথা ভাবে
রোজ রোজ গালি দেয় চৌকাঠ না পেরোনোর ম্যানিয়াকে 
একবার এপার আরেকবার ওপার
ঠিক করতে পারে না কোন সমুদ্রের জল তার চামড়ায় সহনীয়

[]
একেকটা চুলচেরা বিশ্লেষণে চিরুনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে
আনাচেকানাচে দোআঁশলা বীজতলা ঘিরে
প্রকট প্রকরণে সাজানো হচ্ছে বোয়ালের শরীর
আর এদিকে ভাসমান কচুরিপানা
স্রোত ঠেলে এগিয়ে যেতে চাইছে একটু একটু করে
মাছেদের সাথে,বোয়ালের সাথে জংলি জীবন যাপন
ভেসে থাকছে জলের উপরে জলের ঢেউ নিভাঁজ
ডাঙ্গায় বসে কুমিরদল একটা একটা ঢেউ
গুনছে জেহাদের





0 comments:

Post a Comment