Thursday, December 25, 2014

রফিক হাসান

যে জীবন 

পাখিরাও যে মেতে উঠে সর্বভুক সমুদ্রের মত,
কি থাকে পাখিদের ডিনারে
, খাবার?
ঝলসানো কুয়াশার ডানা
? রৌদ্রের ঘ্রাণমাখা সুগন্ধ-সম্ভার?
নাকি সন্ধ্যার আবিরমাখা
, দিগন্তজোড়া মন্দ্রিত সূর্যাস্তের মেঘ?
নিবিড় রাত্রির আহ্বান ভরা দীপ্র শস্যদানা
?
সমুদ্রের হাওয়ায় ধোয়া পাতার বাসনে
ফুল্ল কুসুমের মতো উজ্জ্বল হাওয়াই মিঠাই
?
কী যে কিচির মিচির
, হাঁকডাক যেন উদযাপনের ধুম!
প্রতিদিন নতুন অতিথি
, আঁচল উড়িয়ে নাচে উৎসবের গান
উন্মাতাল ঢেউ
, অবগাহনের তীরে প্রতিদিন লীন সূর্যস্নান।
আমাদের ডিনারে সেই কলতান নাই।
নাই সেই সন্ধ্যার গান--নক্ষত্রের নিচে নীল সমুদ্র শয়ান
প্রেমাচ্ছন্ন দেহের তিমির ছিঁড়ে তুলে আনে বিজলীর ফুল
জ্বলজ্বলে বুক খুলে জ্যোৎস্না নামে জলে
আলিঙ্গনে চূর্ণকণা তীব্র রাশি রাশি
,
আকাশ আছড়ে পড়ে নৈঃশব্দ্যের তীরে
মথিত স্বপ্নের রাতে
, যুগল কিনারে।
স্বপ্নের সেই মূর্ছনা নাই আর আমাদের ডিনারে।
নাই সেই নিবিড় রাত্রির আহ্বান--উষ্ণ অনুরাগ
,
প্রেম নাই
, প্রতীক্ষা নাই, নাই স্মৃতির উত্তাপ।
মুখ গুঁজে চুপচাপ তাই পরাঙ্মুখ শিথিল শরীরে
ঈষৎ সংশয়ের ভাপ
, টুকরো চাপাতি কি নির্জীব সালাদ
প্রতিদিন আমাদের অন্তিম ডিনারে।
অন্তিম রাত্রির শোক
, বীততাপ সারারাত জেগে থাকে বুকে,
খাঁজে খাঁজে
, মুখোমুখি ছায়ার শরীরে, একা
যে যার অন্ধকার হিম রুমে--
স্বপ্নেরা ঘুমায় দূরে
, বাহুডোরে--পরস্পর আকাঙ্ক্ষার ওমে।





1 comments: