নিয়ম
সকাল সা’ড়ে দশটা । বাসের প্রতীক্ষালয় ।
এমনটাই কথা ছিল…..
একে একে গড়িয়ে যাচ্ছে দুপুর
এখনও তোমার কোনো চিহ্ন নেই ।
কয়েক কদম দূরে পড়ে আছে সারল্য মাঠ
আরও দূরে সূর্যের লাল….
ওখানে নিয়ম ভাঙার খেলা নেই ।
কথামতোই মিশে যায় আলো-মাটি-জল
ওরাই জীবন যৌবনের হিসেব কষে
ফোটায় পাতা-ফুল-ফল ।
আমরা পুরুষেরা হিসেব ফেরে ভুল করি বারবার
আর শুধু তোমাকেই আলো-মাটি-জল ভেবে
পুষে যাই যত নিয়ম….
তুমি আসবে । হয়তো এবেলা,কাল,কিংবা….
সমাঙ্গদেহী
হাতের মুঠোয় রাতের শহর নিয়ে জেগে থাকি
তুমি ঘুমের মধ্যে পাশ ফেরো যতবার …
চোখের আড়াল ডিঙিয়ে নড়ে ওঠে স্তব্ধতা, প্রেম ।
অন্ধকার মলাটের নীচে জন্ম নেয় অন্য এক ম্যাগাজিন
সীমান্তের কাঁটাতার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকি আমি
সব শব্দ মুছে গেলে ভেঙে ফেলি যত ব্যবধান
তোমার আর আমার । কেউ কি টের পাই ?
দুটি নদী এক হয়ে উঠে গিয়ে বসি নদীর কিনারায় ।
নির্জনে শব্দরূপ পেরিয়ে হেঁটে যায় কথার রকমফের
সব ফেরে হেরে যায় আমি । চাপা উল্লাসে ফুলে ওঠে
তোমার দুই স্তন ।আমি আদিম বালকের মতো
দৃষ্টির ঘেরাটোপে আটকে যাই স্তনে ।নিছক প্রাকৃতিক
তবু তোমার চোখে ধরা পড়লে, নিজেকেই অপরাধী
ভাবো বার বার ।ঘন হয়ে ওঠে তোমার নিঃশ্বাস…
নারীর এরূপেই ভেঙে ভেঙে যায় ক্লোরোফিল সংকেত ।
হলুদ পাতর ক্যানভাস জুড়ে আমার নীল শরীর যখন
ছুঁতে যায় অনন্ত তাপ, ঠিক তখনই হার মানো তুমি।
তোমার অফুরান সংযম ক্রমাগত বদলে দেয় আমায়
কখনও গিলতে চাই কলঙ্ক, কখনও বা মৌন প্রেমিক
তুমি-ই ঠিক……
সিঁথিরেখা যেদিন ছিনিয়ে নেবে বৈধতা
সেদিনের জন্য তোলা থাক সমাঙ্গদেহী বিনিময় ।।
অন্য জন্ম
চাঁদ,
তুমি
তো কখনও ভেজোনি
ঝমঝম বৃষ্টির দুপুরে …
আমি ভিজেছি,
সারা
শরীর জুড়ে
এক দুই করে গুনেছি বৃষ্টি ফোঁটা ।
শুষে নিয়েছি আকণ্ঠ পিয়াসী আগুন
ছুঁয়ে গেছি অনন্ত বয়সের হিসাব ।
আমি বাড়িয়ে দিয়েছি চিবুক ঊর্দ্ধপানে
ক্রমে ক্রমে পেরিয়েছে সীমানা
রোমাঞ্চ ছোঁয়া….
আমি বয়ে গেছি ঢলঢল শরীরে
মাটির সিঁড়ি বেয়ে শত বীজের গর্ভে
আবার জন্মেছি পাতা হয়ে
ঊর্ধ্বগগনে চেয়ে ।
চাঁদ,
তুমি
তো যাপন করো অলস দুপুর
তবে এসো না একদিন…
মেঘ মল্লার ছাপিয়ে অন্য জন্ম ।।
0 comments:
Post a Comment